ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বিআরটিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৭-০২-২০২৫ ০৪:৪৬:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৭-০২-২০২৫ ০৪:৪৬:০৯ অপরাহ্ন
​বিআরটিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির ​ছবি: সংগৃহীত
পুরোনো লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এমন পদক্ষেপ ঠেকাতে ফিটনেসবিহীন পুরোনো লক্কড়-ঝক্কড় বাসগুলো রাতারাতি গোলাপি রং ধারণ করে চালাতে গিয়ে নগরজুড়ে প্রতিদিন গণপরিবহন সংকটে ভয়াবহ যাত্রী দুর্ভোগ তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটি রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নগরজুড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধে ভয়াবহ যাত্রী দুর্ভোগ তৈরির জন্য বিআরটিএকে দায়ী করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব অভিযোগ করেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, রাজধানী ঢাকার বিশৃঙ্খল গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ করে মানসম্মত উন্নত গণপরিবহন নামাতে অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর সরকারের চার উপদেষ্টা, পুলিশ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএসহ শীর্ষ স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ঢাকা মহানগরীর ২০ বছরের পুরোনো বাস মে মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করার নির্দেশনা দেন।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার সব রুট বিলুপ্ত করে ৯টি রুটে ৯ কালারের উন্নত বাস পরিষেবা চালুর নির্দেশনা দেন। এমন নির্দেশনার অপব্যবহার করে নতুন উন্নত বাসের বদলে ২০ থেকে ৪০ বছর যাবত নগরীতে চলাচলরত মেয়াদোত্তীর্ণ লক্কড়-ঝক্কড় ফিটনেসবিহীন বাস রাতারাতি গোলাপি কালার ধারণ করে চালানোর উদ্যোগ নেয় মালিকরা। এসব বাসে ইতোমধ্যে মুখ থুবড়ে পড়া ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বাস কাউন্টারে ভাড়ার টাকা আদায় করে চালক-সহকারীর দৈনিক হারে ট্রিপ ভিত্তিক মজুরি নির্ধারণ ও সাপ্তাহিক, পাক্ষিক হারে মালিকের জমা বাস মালিক সমিতি কর্তৃক প্রদানের সিদ্ধান্ত হয় বলে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে।

তিনি বলেন, এতে দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক চুক্তিতে চলা বাসগুলোর মালিকদের সমিতি থেকে সঠিক হিসাবে তাদের বাসগুলোর জমা টাকা পাওয়া নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে চুক্তিতে চলা বাসের আয় থেকে কম মজুরি নির্ধারণ করায় চালক ও সহকারীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এতে করে প্রান্তিক বিভিন্ন বাসের মালিক ও চালক-সহকারীরা তাদের কিছু কিছু বাস বন্ধ রেখেছে। বাসের ভাড়া নির্ধারণের শর্ত লঙ্ঘন করে এমন অব্যবস্থাপনায় গণপরিবহন সংকটে ভয়াবহ যাত্রী দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে নগরজুড়ে।

মহাসচিব বলেন, এতে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়ছেন নিয়মিত অফিসগামী যাত্রীরা। এমন সংকট নিরসনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ, ট্রাফিক বিভাগ ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। সংকট নিরসনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে রোববার নগরজুড়ে সড়ক অবরোধ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের তাণ্ডবলীলায় ভয়াবহ যাত্রী দুর্ভোগ তৈরির জন্য বিআরটিএকে দায়ী করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। জনগণের অর্থে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রজ্ঞাপন বাতিল করে অসহায় যাত্রীদের ভাড়া নৈরাজ্যকারী অটোরিকশা চালকদের হাতে তুলে দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্তির দাবি জানান তিনি।

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ